বিজয় দিবসের বক্তব্য (১৬ ডিসেম্বর বক্তব্য) ২০২৪

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস বক্তব্য, বিজয় দিবসের বক্তব্য বা ১৬ ডিসেম্বর বক্তব্য।

{getToc} $title={Read the main point}১৬ ডিসেম্বর বক্তব্য আপনাকে খুব মনোযোগ দিয়ে পাঠ করতে হবে শুধু একবার পড়লেই হবে কয়েকবার পড়তে হবে ভুলেও মুখস্ত করতে যাবেন না। নিজের ভাষায় সাজিয়ে নিন যা নিচের বিজয় দিবসের বক্তব্য টি খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হলো। 

এখান থেকে এমন কিছু কিছু শব্দ চয়ন করুন যাতে আপনার সামনে যারা আপনার বক্তব্য শুনে বলতে পারে যে সত্যিই আপনি খুব smart ভালো বক্তব্য দিতে পারে। আপনি জানেন কি একজন নেতার সবচেয়ে যেগুণাবলি থাকা দরকার তার মধ্যে প্রথম যে গুণাবলি তা হল বক্তব্য দেয়া এবং

যা বলবেন তা যথাযথ পালন করা তাই কোথাও কোন বক্তব্য দিতে হলে তার আগের দিন থেকে প্রস্তুত থাকুন যে আপনি দর্শকদের উদ্দেশ্যে করে কি কি বলবেন। 

নিচের বক্তব্যটি অনুপম গাইড থেকে নেয়া। ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ যা আমাদের বাংলাদেশের ৫২তম বিজয় দিবস

আমার একটি বিজয় দিবসের কবিতা আছে আপনি পড়তে পারেন। কবিতার নাম আজ ১৬ই ডিসেম্বর

বিজয় দিবসের বক্তব্য


মাননীয় সভাপতি, সমবেত সুধীবৃন্দ

সবার প্রতি রইল আমার বিজয়ের আনন্দঘন শুভেচ্ছা। আজ ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ যা বাংলাদেশের ৫২তম বিজয় দিবস। বাঙালির জাতীয় জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া , বড় গৌরব, বড় আনন্দের দিন।

দিনটি এক দিকেযেমন গৌরবোজ্জ্বল মহিমায় ভাস্বর অন্যদিকে তেমনি ত্যাগের মহিমায় উদ্দীপ্ত। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পশ্চিম পাকিস্তানি হায়নাদের থাবা ‘অপারেশ সার্চলাইট’-এর বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধের ও প্রতিশোধের মন্ত্রে জ্বলে ওঠা বাঙালির কাছে দীর্ঘ নয় মাস পর ১৬ গিসেম্বর বিকেল সাড়ে চারটার 

সময় ঢাকার রেসকোর্স ময়দারে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানি পরাজিত সেনা নায়ক লে জে এ কে নিয়াজী। বিজয়ের পতাকা হাতে নিয়ে, বিজয়ের মালা কণ্ঠে ধারণ করে আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়ে বাঙালি বীর মুক্তিযোদ্ধারা। 

অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের। তাই এ দিনটি বাঙালির জীবনের এক অসামান্য আনন্দের দিন। 

সুুপ্রিয় স্বাধীনতাভোগী দেশপ্রেমিক বন্ধুগণ

বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস দীর্ঘদিনের পরাধীনতা ও দাসত্বের ইতিহাস। ১৭৫৭ সালে ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে ইংরেজদের কাছে নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলার পরাজয়ের মধ্যে দিয়ে এদেশের স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়। 

এর পর প্রায় দু’শত বছর ধরে ইংরেজদের ইচ্ছে মতো এদেশ শাসন-শোষণ। তারপর ১৯৪৭ সালে এক ধর্মীয় চেতনার মধ্যে দিয়ে পাকিস্তানের সাথে বাঙালিরা একীভূত হয়ে ব্রিটিশদের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভ করে এক বৃহত্তর ‘মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তান প্রজাতন্ত্র’। 

পাকিস্তান মুসলিম রাষ্ট্র গঠন হওয়ার পর পরই কি আমরা পরিপূর্ণ স্বাধীনতা পাই। নিশ্চই না আমরা দেখেছি পাকিস্তানি আলবদররা প্রথমেই আমাদের বাংলাকে কেড়ে নিতে চেয়েছিল তারা চেয়েছিল উর্দূকে পূর্ব পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা জোরপূর্ব আমাদের রাষ্ট্র ভাষা দিতে চেয়েছিল।

কিন্তু না তখনি জেগে ওঠে সচেতন বাঙালি গড়ে তোলে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এক দুর্বার প্রতিরোধ। আর এই প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্যেই প্রাণ হারায় আমাদের সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউরসহ আরও অনেকেই। 

১৯৫১ সালে ২১ ফেব্র্রুয়ারি আর এটাই ছিল আমাদের প্রথম দাবি বাংলা বাংলাই হবে একমাত্র বাংলা ভাষা।

বন্ধুগণ

সেই ভাষা আন্দোলনের চেতনা পরবর্তীতে প্রেরণা যুগিয়েছে সব আন্দোলনের।  ‘৬৯-এর গণঅভ্যুথান, ‘৭০-এর নির্বাচনীর বিজয় পরিশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের বিজয়ের বরমাল্য আমরা পেয়েছি সেই একুশের চেতনা থেকেই। 

বন্ধুগণ, আমাদের এ বিজয় বহু রক্তের বিনিময়ে, ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে অর্জিত। কিন্তু একটা কথা আছে যে, ‘স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীরতা রক্ষা করা কঠিন।’ কথাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  একবিংশ শতাব্দীর এই সভ্যতার যুগে এসেও আমরা দেখেছি, 

কতগুলো দেশ তাদের তাদের স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেছে, পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলো কীভাবে একটা দুর্বল রাষ্ট্রকে জোর করে সাংস্কৃতির আগ্রাসনের মাধ্যমে, অর্থনৈতিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে গ্রাস করে ফেলছে।

আমাদের সবদিক বিজার বিবেচনা করে, উন্নয়নের জন্য সর্বাত্মকভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। স্বাধীনতার সুখ অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া পরিপূ্র্ণতা পায় না। 

আমরা সত্যিকার অর্থে তা পেয়েছি কি? আমাদের অর্থনীতি এখনও পরমুখাপেক্ষী। এখনও আমরা আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিক্ষা-দীক্ষায় উন্নত বিশ্বের তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছি। 

মানুষ যখন চাঁদ পেরিয়ে মঙ্গলগ্রহের দিকে ছুটছে আমরা তখন নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক ও ব্যক্তিদ্বন্দ্ব নিয়ে মারামারি করে মরছি। একি আমাদের স্বাধীনতার স্বার্থকতা? 

বন্ধুগণ

আজ মহান বিজয় দিবস। ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না। অতীত ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। দেশ ও জাতির কল্যাণে ক্ষুদ্র স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে জাতির বৃহত্তর স্বার্থের কথা আমাদের প্রত্যেককেই গভীরভারে ভাবতে হবে। 

১৮ কোটি বাঙালির ৩৬ কোটি হাতকে সুদক্ষ কর্মীর হাতে পরিণত করে দেশগঠনে আত্মনিয়োগ করতে হবে। দেশ থেকে বোমাবাজি, সন্ত্রাসী, ধর্মান্ধতা নির্মিূল করতে হবে। সর্বোপরি দেশকে সমৃদ্ধশালী করে গড়ে তুলতে হবে। দেশের স্বাধীনতাকে অর্থবহ করে তুলতে হবে, 

বিজয় দিবসের আস্বাদ প্রত্যেক বাঙালির ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। আর তাহলেই আজকের এ বিজয়ের জন্য যারা প্রাণ দিয়েছিলেন, তাদের আত্মত্যাগ স্বার্থক হবে।

বন্ধুগণ 

আসুন। আমরা আজরের এ বিজয়ের আনন্দ প্রাণে ধারণ করে সততায়, কর্মদক্ষতায়, ত্যাগে, তিতিক্ষায় শহীদদের আত্মত্যাগের সার্থক করে তুলি- গড়ে তুলি সোনার বাংলা।

সবাইকে আবারও বিজয়ের আনন্দমাখা শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি।

খোদা হাফেজ।

Post a Comment

Previous Post Next Post